‘বর্তমান সরকার ভারতের নির্দেশনায় কাজ করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জিয়া ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘প্রহসনের নির্বাচন, বিপন্ন গণতন্ত্র ও তারেক রহমানের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের দূতাবাস থেকে যে নির্দেশনা আসছে সেই নির্দেশনাতেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভারত আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না আনতে পারলে তাদের মান-সম্মান থাকবে না এবং তারা তাদের বাজার হারাবে।”
জিয়া পরিবার ও তারেক রহমান প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “বর্তমান সরকার খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামে ভয় পায়। কারণ বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় এবং জিয়া পরিবার গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চায়।”
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আব্বাস বলেন, “ক্ষমতার খায়েশ ছেড়ে দিন, তাহলে আর সরকার বিরোধী আন্দোলন হবে না, গুলিও চলবে না এবং মানুষও মরবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশে যে রাজনৈতিক সহিংসতার সৃষ্টি হবে তার জবাব আপনাদেরকেই দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “বুড়া সরকারকে ঘাড় থেকে নামাতে হবে। তা নাহলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র টিকে থাকবে না।”
বর্তমান মন্ত্রিসভাকে অবৈধ আখ্যায়িত করে মির্জা আব্বাস আরো বলেন, “এই সরকারের মন্ত্রীদের নির্দেশ ও স্বাক্ষরে যে সকল কাজ হবে সেগুলোও হবে অবৈধ। আর এই মন্ত্রীদের নির্দেশে যারা কাজ করবে তাদেরও এক সময় জবাব দিতে হবে।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ৪২ বছর পরে নাম মাত্র একটি ট্রাইবুন্যাল গঠন করে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে, যা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতার শামিল। আমরাও বলতে চাই বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, মানুষ হত্যা এবং সকল কেলেঙ্কারির বিচার ৭২ বছর পর হলেও করা হবে।”
আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালন অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাস্ট নিউজ বিডি’র সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়াসহ অনেকে।