নতুন নিবন্ধন পাওয়ার পর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর প্রথম সংবাদ সম্মেলন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে হাতাহাতি আর বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে।
শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে দলটির নিবন্ধন-পরবর্তী পরিচিতিমূলক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
পরে কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিসকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএনএফ’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দলের নেতাদের নাম, পদবি ও পরিচিতি ঘোষণা করতে থাকেন। ওই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুগ্ম আহ্বায়ক ও কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিসের নাম ঘোষণা না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কারণ জানতে চান। তখন সভাপতি তাকে চুপ থাকতে বলেন। এই নিয়ে এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সাংবাদিকদের সামনেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এবং এক পর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যেও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সংগঠনের সভাপতি কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেমকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার ঘোষণা করেন এবং তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই নিদের্শের পরই আজাদের কর্মীরা মোয়াজ্জেমকে টেনেহেঁচড়ে বের করে দেন। এই ঘটনায় ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনএফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। ওই সময় তিনি বলেন, “বিএনএফ ৩০০ আসনেই দলীয় প্রতীক টেলিভিশন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইতিমধ্যে ১০০ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।”
বিএনএফ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনএফ সভাপতি জানান, তারা দুই নেত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসার চেষ্টা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপj জাহানারা বেগম, সদস্য সচিব আরিফ মাইনুদ্দিনসহ অনেকে।