আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নিজের রক্ত ঝরালেন যশোরের আ. ন. ম. বনি। বক্তব্য রাখার সময় আবেগের তোড়ে ব্লেড দিয়ে নিজেই নিজের হাত কেটেছেন। সেলাই লেগেছে বেশ কয়েকটি। ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরের।
যশোরের ২টি সংসদীয় আসনের (৩ ও ৫) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মেজর (অব:) আ.ন.ম মোস্তফা বনি। নমিনেশন পেপার কিনেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে যশোর বিমান বন্দরে পথসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মণিরামপুরবাসীর জন্য আমি সব কিছু করতে পারি। এদের জন্য আমি প্রয়োজনে রক্ত দিতেও প্রস্তুত।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কথা বলেই তিনি ব্লেড দিয়ে নিজের বাম হাত কেটে ফেলেন। রক্তপাত দেখে অস্থির নেতাকর্মীরা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার হাতে একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে মেজর (অব:) বনির সমর্থকরা দাবি করেছেন, ‘অজ্ঞাত দুই যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করেছে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় অর্ধশতাশিক মোটর সাইকেলের বহর। সবার মাথায় ফেটা বাঁধা মেজর বনি। এদের কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী মোটরসাইকেল চালক মণিরামপুরের নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার বিপ্লব হাসান। তিনি বলেন, ‘মেজর বনি সাহেবকে অভ্যর্থনা জানাতে মণিরামপুর থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিমান বন্দরে গিয়েছিলাম। মেজর বনি সাহেব বিমান বন্দরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। এসময় তিনি নিজেই ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটেন। রক্তপাত হলে তিনি বলেন এই রক্ত মণিরামপুরবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম। তবে বেশি রক্তপাত হওয়ায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে হাসপাতালে এনেছে।’
মোটরসাইকেল বহরে আসা সমর্থক খোরদেশ আলম বলেন, ‘উনি (মেজর অব: বনি) নিজেই হাত কেটে নেতাকর্মীদের রক্ত দেখাতে গিয়ে বেশি কেটে ফেলেছেন।’
হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সময় মেজর (অব:) বনির সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি। এসময় তিনি তার এক সমর্থক দেখিয়ে দিয়ে তার সাথে কথা বলার পরমর্শ দেন। তবে ওই সমর্থক দাবি করেন, দুই যুবক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গিয়েছে।
পরে মোস্তফা বনির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ভাই রাজু ফোন রিসিভ করেন। তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার সময় অজ্ঞাত দুই যুবক ব্লেড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।