বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ফ্রান্সের স্টার্সবার্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে।
এর আগে মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে ১৭টি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এতে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংকট নিরসনে নানা প্রস্তাব রাখা হয়। এতে সব রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আস্থাশীল সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান, মানবাধিকার ইস্যু, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রভৃতি ইস্যুতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা এ আলোচনায় স্থান পাবে।
গ্রুপ অব দ্য অ্যালায়েন্স অব লিবারেলস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ফর ইউরোপের (এএলডিই) পক্ষে এসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে ইউরোপিয়ান কনজারভেটিভ অ্যান্ড রিফর্মিস্ট(ইসিআর) গ্রুপ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধীতা ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার অভিযোগ তদন্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি (পিপিই) বাংলাদেশে সংঘাত-সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বল প্রয়োগ না করাতে সরকারকে নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে বিরোধ এবং বিরোধী দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সহিংসতায় জনজীবন স্থবির হওয়ার বিষয়েও গভীর উদ্বেগ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।