চিলির বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো ব্রাজিল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের শক্তি পরিচয় দিল আরেকবার।
বুধবার কানাডার টরেন্টোর রজার্স সেন্টারের মাঠে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। অস্কারের পাসকে গোলে পরিনত করেন হাল্ক। ১২ গজ দূর থেকেনেয়া শটটি থামাতে পারেননি চিলির গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রবিনহো, হাল্ক, পাওলিনিয়ো ও অস্কার। চিলি গোলের দেখা পায় খেলার ৭০ মিনিটে। দূর থেকে নেয়া শটে গোলরক্ষক জুলিও সেজারকে পরাস্ত করেন এদুয়ার্দো ভারগাস।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি ব্রাজিল। চিলির ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে নেইমার বল বাড়ান মাইকনের কাছে। মাইকনের ক্রসে মাথা ছুইয়ে বল জালে পাঠান সদ্য দলে ডাক পাওয়া রবিনহো।
এটি রবিনহোর ২৭তম আন্তর্জাতিক গোল। আর চিলির বিপক্ষে নবম। গত বিশ্বকাপে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিল। ওই ম্যাচেও শেষ গোলটি করেছিলেন রবিনহো।
চলতি মাসেই জাতীয় দলে ডাক পান রবিনহো। আর দলে ডাক পেয়ে নিজের সেরাটা উপহার দিলো এসি মিলানের এই স্ট্রাইকার। আগামী বছরে বিশ্বকাপের দলে ঠাই পাওয়ার আশা করতেই পারেন তিনি।
১০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল চিলি। আগামী বিশ্বকাপের স্বাগতিকরাও অপরাজিত রইলো ছয় ম্যাচ। এই ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২০ গোল দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তারও পরিচয় দিয়েছে তারা।
স্কলারি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করার আগে মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আর একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে ব্রাজিলের।