একাই ৫৪৬!

একাই ৫৪৬!

556ক্রিকেটে এক ইনিংসে দলগত প্রচেষ্টায় ৫০০ রান করাটাই অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেখানে এক ইনিংসে ৫৪৬ রান করে হৈচৈ ফেলেছেন ভারতের এক স্কুল ক্রিকেটার। বুধবার মুম্বাই স্কুল ক্রিকেটে এমন ইতিহাসের সৃষ্টি হয়।

স্কুল ক্রিকেটের কথা আসলেই ঘুরে ফিরে আসে ক্রিকেট ‘ঈশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকারের কথা। ১৯৮৮ সালে শচীন বিনোদ কাম্বলির সাথে লর্ড হ্যারিস শীল্ড আন্তঃ স্কুল প্রতিযোগিতায় সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলের বিরুদ্ধে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। পরের অংশতো ক্রিকেটের ইতিহাস। ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা শচীনের বিদায়ের পর নতুন শচীনের পদধ্বনিই শুনতে পাচ্ছেন।

৫৪৬ রান করা একই কিশোরের নাম পৃথ্বী সাও, বয়স মাত্র ১৪ বছর। ক্লাস নাইনে পড়া এই কিশোর রিজভি স্প্রিংফিল্ড স্কুলের হয়ে খেলেছেন। সম্প্রতি তাকে মুম্বাইয়ের অনুর্দ্ধ-১৬ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়।

রেকর্ড এই রান করতে পৃথ্বী খেলেছেন ৩৩০টি বল। ব্যাট হাতে বেশি ছক্কা না মারলেও চার মেরেছেন ৮৫টি। দৃঢ় প্রত্যয়ী এ ব্যাটিং প্রদর্শনীতে ছিল ৫ টি ছক্কা। এটা মুম্বাই স্কুল ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড। ঐতিহাসিক এই ‘আজাদ ময়দানে’ স্কুল ক্রিকেটের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন শচীন।

ইন্ডিয়ান স্কুল ক্রিকেটে আরমান জাফরের ৪৯৮ রানই ছিল এতোদিন সর্বকালীন ভারতীয় রেকর্ড। তবে পৃথ্বীর এর আগেও স্কুল ক্রিকেটে ৩০০ রান করেছিলেন।

অল্পের জন্য বিশ্ব রেকর্ড করতে পারেননি পৃথ্বী। রানের দিক থেকে এটি তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড। বিশ্ব স্কুল-ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন ইংল্যান্ডের এইজে কলিন্স। ১৮৯৯ সালে কলিন্স ৬২৮ রানের ইনিংস খেলেন। এরপরে আছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান সিজে এডি। তার সংগ্রহ ৫৬৬ সেটিও ১৯০১ সালে। পৃথ্বী হয়তোবা বিশ্বরেকর্ড করতে পারেননি তবে নাড়িয়ে দিয়েছেন স্কুল ক্রিকেটের ১০০ বছরের ইতিহাসকে।

রেকর্ড করার পর পৃথ্বী জানান, আমি খেলতে খেলতে কখন যে ৫০০ রান করেছি জানিনা। ৪০০ রান করার পর আমি আমার সতীর্থদের বলেছিলাম আমাকে স্কোর না জানাতে। তারা জানায়নি আমি শুধু আমার নিজের খেলাটা খেলেছি। তবে ৫০০ করার পর আমার টিমমেটরা আমাকে নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করে।”

পৃথ্বীর প্রতিভা দেখে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। আরমান জাফরের মতো পৃথ্বীকেও অদূর ভবিষ্যতে মুম্বাই রঞ্জি বা শচীনের মতো জাতীয় দলে দেখতে চান।

খেলাধূলা