ইউক্রেনের সাথে প্রথম লেগে দুই গোলে পরাজিত হয়ে বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ঠিক যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা দলটির। তবে বুধবার ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে চেনা ঝলকে ফিরে আসার জানান দিলো ফ্রান্স, ৩-০ গোলে ইউক্রেনকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো তারা।
পরিসংখ্যান এই ম্যাচে অবশ্য ফ্রান্সের পক্ষে ছিলো না। ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে আজ পর্যন্ত কোনো দল প্রথম লেগের দুই গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারেনি। তাই এক কথায় “অসম্ভব কে সম্ভব করেছে ফ্রান্স।”
গত বিশ্বকাপেও বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে চুড়ান্ত পর্বে যায় ফ্রান্স। ১৯৯০ আর ১৯৯৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বিদায়ের দুঃস্মৃতি এখনও তাড়া করছে লা ব্লুদের। তাই যেন একটু বেশী সতর্কতা ছিলো এই ম্যাচে। ইউরোপের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্টেডিয়াম স্টডে ডি ফ্রান্সে ৮১,০০ হাজার স্বদেশী দর্শককে হতাশ করেনি ফ্রান্স।
ফ্রান্সের এই ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক মামাদু সাখো। ২৩ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাকের গোলেই ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
খেলার ৩৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান করিম বেনজেমা। আর ৭২ মিনিটে ইউক্রেনের ওলের আত্বঘাতী গোলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় লা ব্লুদের। অনিশ্চয়তার মাঝেও শেষ পযন্ত ২০১৪ বিশ্বকাপে দেখা মিলবে প্লাতিনি, জিদানদের উত্তরসূরীদের।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে, রুমানিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করলেও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জিতে থাকায় ৪-২ ব্যবধানে বিশ্বকাপে চলে গেল গ্রিস। নিজেদের মাঠে আইসল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল ক্রোয়েশিয়া