‘ব্যবসায়ীরা তৃতীয় শক্তি চায় না’

‘ব্যবসায়ীরা তৃতীয় শক্তি চায় না’

59ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ব্যবসায়ীরা ফখরুদ্দীন ও মঈনুদ্দীনের মতো তৃতীয় কোনো শক্তির উত্থান দেখতে চায় না।”

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘স্বাধীনতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘সংকট নিরসন ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাজী আকরাম বলেন, “বাংলাদেশ আস্তে আস্তে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ৯০ সাল থেকেই এ উন্নতি শুরু হয়েছে। মাঝখানে ১/১১ এর শাসন অর্থনীতিতে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ করেছে। আমরা আর এই তৃতীয় শক্তি দেখতে চাইনা।”

তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা আসে না। সুতারাং এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।”

তিনি আরো বলেন, “হরতাল হওয়ার কথা অহিংস কিন্তু তা হচ্ছে সহিংস। ব্যবসায়ীরা এই সহিংস হরতাল থেকে রেহাই চায়।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা চায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা আশা করছি বিরোধী দলীয় নেত্রী রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করবেন।”

সর্বদলীয় সরকার সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক তা যেন সুষ্ঠু হয়।”

তিনি বলেন, “আটজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী শপথ নেওয়ার মাধ্যমে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূচনা হলো। এখানে বিরোধী দলও অংশ নিতে পারবে।”

বিশেষ অতিথির হিসেবে এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আব্দুল হক বলেন, “অর্থনীতি যদি না থাকে তাহলে বাকী সবের কি মূল্য। এমন পরিস্থিতিতে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার।”

তিনি বলেন, “আমাদের দেশ যখনই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ সব দিক দিয়ে উন্নতি করতে শুরু করে তখনই রাজনৈতিক সংকটে এসে সবকিছু হারিয়ে ফেলি।”

রাজনৈতিবিদদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “তারা যেন মুরগি নিয়ে ঝগড়া করে জমি বিক্র করে না দেয়।”

এসময় বক্তারা বলেন, “বর্তমান দেশের সংকট নিরসনের জন্য ব্যবসায়ীরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারেন।”

দুই নেত্রীর কাছে একটাই চাওয়া উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, “আপনারা জনগণের দিকে একটু ফিরে তাকান। আজ রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হয়েছে জনগণ। এই মুহূর্তে জনগণের শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। আপনাদের দিকেই তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণ উদ্যোক্তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, “তরুণ উদ্যোক্তারা হলো দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ। তারা আজ হতাশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। তা নাহলে দেশে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।”

সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নওশের আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ শামীম ও অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মঞ্জুর হোসেন।

বাংলাদেশ