ন্যায্য বেতন আর নিরাপদ কারখানা দিতেই হবে, না হলে ক্ষতির মুখেই পড়বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এই বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশকে। জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএলও বলেছে, তারা কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, তবে খুব নিম্ন মজুরির দেয়াল ভাঙ্গতে হবে। সংস্কার করতে হবে।
গার্মেন্টসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদন, সাভারের রানা প্লাজা ধস নিয়ে কথা বলেছে আইএলও।
‘ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে বাংলাদেশের সরকার এবং ব্যবসায়ী নেতারা যাতে সঠিক দিক-নির্দেশনা পান, তা নিশ্চিত করতে চায় আইএলও। বাংলাদেশ যদি সঠিক মজুরী নীতিমালা এবং আরো নিরাপদ কাজেরপরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারে তবে তাদের অর্থনৈতিক গতিবেগ তারা ধরে রাখতেপারবে না।”
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য নয়বরং বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও এসব সংস্কার আনা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত এবং পাকিস্তানে তাদের সহকর্মীদের চেয়ে অনেক কম আয় করে এবংদেশটিতে গত ৩০ বছরে মাত্র ৩ বার গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি পুন:নির্ধারণকরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ভাষ্য মতে, “যদিও এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশেরগার্মেন্টস খাতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবে পর্যাপ্ত নীতিমালার অভাবে এইখাতে কাজের পরিবেশ বিপজ্জনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।”
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টস শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, তারা এই খাতে সংস্কার আশা করেন। সেই কথাই বলল আইএলও।
প্রতিবেদনে বলা, এসব সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ রপ্তানি নিরাপত্তা নিশ্চি তকরতে পারবে। পাশাপাশি উন্মোচিত হবে নতুন বিনিয়োগ, নতুন চাকরির বাজার। উন্নয়ন টেকসই হবে।