নেপালে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাংবিধানিক পরিষদের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটাররা এরমধ্যেই ভোট দিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই পরিষদের মাধ্যমেই নেপাল পাবে বহুল প্রতীক্ষিত খসড়া সংবিধান।
এ বছরের শুরুর দিকে নেপালে এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন দেশটির উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি খিলরাজ রেগমি। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দেশজুড়ে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানান তিনি।
মাওবাদীদের নেতৃত্বে কিছু বিরোধীদল সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ফলে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেকারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নেপালে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন বর্জন করা দলগুলোর দাবি সব রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নতুন সরকার। যারা নির্বাচন আয়োজন করবে।
এর আগে ২০০৮ সালে মাওবাদীরা নির্বাচনে জয়লাভ করলেও রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বিরোধের কারণে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করা হয়নি।
এবারের সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচনে ৬০১ আসনের বিপরীতে শতাধিক দল থেকে ১৬ হাজার প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।এদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৬ হাজার। নেপালের বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লক্ষ।