হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছেন নববধূ শাপলা আক্তার। মাত্র দশ হাজার টাকার জন্যে তার ওপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করেছেন। সোমবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে শাপলা। একই উপজেলার ছোটপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয় তার।
আদিতমারী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শাপলা জানান, মাত্র ৫ মাস হলো ৬০ হাজার টাকা যৌতুকে বিয়ে হয়েছে রবিউল ইসলামের সাথে। বিয়ের সময় শাপলার বাবা ৫০ হাজার টাকা বুঝে দিয়ে বাকি ১০ হাজার টাকার জন্য ২/৩ মাস সময় চান। ৫ মাস অতিবাহিত হলেও বাকি ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় শুক্রবার শাপলাকে পাঠানো হয় বাবার বাড়িতে।
এদিকে টাকা যোগার না হওয়ায় শাপলার বাবা আরও কয়েক দিন সময় চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শাপলাকে নিয়ে যায় তার স্বামী রবিউল ইসলাম। শুরু হয় নির্যাতন।
শাপলা জানায়, টাকা ছাড়া বাড়ি যাওয়ায় তার শ্বাশুড়ি আর স্বামী ঘরের দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়।
শাপলার বাবা ফারুক মিয়া বলেন,”টাকার জন্য কয়েক দিন সময় চাইলাম। তারা শুনল না।”
শাপলার চিকিৎসক ডা. ওমর জানান, বাম হাত ভেঙ্গে গেছে, মেরুদন্ড ও গলায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। তার সুস্থ হতে সময় লাগবে।
ঘটনার পরপরই শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মগোপনে আছে। থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে