পুর্নগঠিত মন্ত্রিসভায় নতুন কিছু দেখতে পাননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এখানে মহাজোট পুরোনো মন্ত্রী সভায় নতুন করে পুর্নগঠন করা হয়েছে। এটাকে সর্বদলীয় বলা যায় না। কারণ এতে প্রধান বিরোধী দল ছাড়াও আরো চারটি দল অনুপস্থিত।”
সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার গুলশানের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়ে মিডিয়া রুমের ব্রিফিং এ মির্জা ফখরুল বলেন,”জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য চলমান সঙ্কট উত্তরণে সরকার সমঝোতার উদ্যোগ নেবে। কিন্তু তা না করে সরকার মন্ত্রী সভা পুর্নগঠনের মাধ্যমে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। এই ধরনের মন্ত্রী সভার অধীনে কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এদের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ ও আর্ন্তজাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর সেই ধরনের কোন নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেবে না।”
সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপে জনগণ উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, “বার বার দাবি করা সত্ত্বেও সংলাপের সত্যিকারের উদ্যোগ না নিয়ে সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ঢেলে দিয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ সদস্যর প্রতিনিধি আগামীকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাবে। ওই প্রতিনিধি দলে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা থাকবেন।”
রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নতুন কোন প্রস্তাব বিরোধী দল তুলে ধরবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন,”আমাদের নতুন কোন দাবি নেই। আমাদের দাবি একটাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর সেই দাবিতে আমাদের আন্দোলনও অব্যাহত আছে।”