বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর হয়রানির প্রতিবাদে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বিজিবি’র হয়রানি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে সি অ্যান্ড এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ, হিলি ট্রাক পরিবহন মালিক গ্রুপ, ট্রাক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ এবং কুলি-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ- এ ৫টি সংগঠনের যৌথভাবে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
হিলি স্থল বন্দর সচল রাখতে বিজিবি কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও ধর্মঘটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এক সমঝোতা বৈঠক করলেও তা ভেস্তে গেছে। ফলে অব্যাহতভাবে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত মটরসাইকেল পার্টস হিলি স্থলবন্দর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ১৪ নভেম্বর দেশের অভ্যন্তরে পাঠানোর সময় পাঁচবিবি বিজিবি চেকপোস্টে আটক করে জয়পুরহাট ৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যায়।
পরে ব্যবসায়ীরা আটককৃত মালামালের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বৈধ কাগজপত্র যাছাই বাছাই শেষে আটককৃত মালামাল ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে ফেরত না দিয়ে হিলি কাস্টমসে জমা দেয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মালামাল ফেরত না দিয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে উল্টো মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বৈঠকে জয়পুরহাট ৩ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল খসরু সাবিবর আলী, উপ-অধিনায়ক মেজর ফিরোজ আহমেদ, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, হিলি কাস্টম সহকারী কমিশনার মাজেদুল হক ও ধর্মঘটি ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলে