খালাফ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা শুরু

খালাফ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা শুরু

kalafসৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় আসামিদের আপিলের রায় দেয়া শুরু করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করছে। গত ৩০শে ডিসেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু, রফিকুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রায়ের সময় সেলিম পলাতক ছিলেন। গত বছরের ৫ই মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের পরিচয় দেয়া হয় ছিনতাইকারী হিসাবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক গত ২০শে সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর ৩১শে অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার বিচারে আসামি আল আমীন বিচারকের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান। ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান। তদন্ত কর্মকর্তা এ কথাগুলো অভিযোগপত্রেও উল্লেখ করেন। তবে গ্রেপ্তার চার আসামি পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষ্য দেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারিক আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ডেথরেফারেন্স এবং আপিলের রায় ঘোষণা করছে হাইকোর্ট। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খোরশেদুল ইসলাম। কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খবীর উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমিনুর রশিদ রাজু। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীর পক্ষে আদালত নিযুক্ত আইনজীবী মাহমুদা খাতুন।

 

বাংলাদেশ