‘প্রতিহিংসা নয়, সেবার রাজনীতি’

‘প্রতিহিংসা নয়, সেবার রাজনীতি’

hasinaপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, সেবার রাজনীতি করে।”

বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের খানজাহান আলী কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এখানে তিনি বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বর্তমান সরকারের সফলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ঘরে মোবাইল পৌঁছে দিয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস শুরু করেছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। আমরা ১৭টি মোবাইল বাহনের মাধ্যমে গ্রামে কম্পিউটার শিখাচ্ছি। আমরা তথ্যকেন্দ্রগুলোতে ছেলে মেয়েদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে কলেজ করছি। আবারো ক্ষমতায় এলে আরো করবো। আমরা বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান বাড়াচ্ছি। যাতে সবাই চাকরি করতে পারে। বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করছি। যাতে সবাই ইচ্ছে করলে বিদেশে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে।”

বিএনপি সরকার শুধু নৈরাজ্য সৃষ্টি করে উল্লেখ্য করে প্রধামন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তাদের সাথে জুটেছে হেফাজতে ইসলাম। যারা মসজিদে আগুন দিয়েছে। কোরআন পুড়িয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে এতো কুরআন কখনো পোড়ানো হয়নি।”

“আমি খালেদা জিয়াকে বলতে চাই, আপনি কোরআন পুড়িয়ে কিভাবে ইসলাম হেফাজত করেন? ইসলাম তো হেফাজত করবেন আল্লাহ তায়ালা। চিন্তা করে দেখেন তারা কী ইসলাম পালন করেন!” যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করি। দেশে এক হাজার বিআরটিসি বাস এনেছি। আর তারা তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তারা ধ্বংস ছাড়া কিছু পারে না।”

“তারা ক্ষমতায় থাকতে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা মেরেছে। ২১ আগস্টে তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা হাসিনা-মুক্ত বাংলাদেশ চায়। তারা খুন করেছে আইভি রহমানকে, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে, খুন করেছে আরো অনেককে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সময়ে তারা ২২ হাজার মানুষ হত্যা করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা বিধবা ভাতা দিচ্ছি। বয়স্ক ভাতা প্রদান করছি। যাদের ঘর বাড়ি নেই, তাদের বিনে পয়সায় ঘর দিচ্ছি। অর্থনৈতিক মন্দা থাকতেও আমরা প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছি। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়িয়েছি। ২৬ হাজার দুইশ’ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে লক্ষাধিক শিক্ষককে সরকারিকরণ করেছি।”

“আমরা দেশের উন্নয়েনের সার্বিক উন্নয়নের বিরামহীন কাজ করছি। সেই সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমাদের ওয়াদা পূরণ করেছি। বিএনপি চায় না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। আমরা এ বিচার ঠিকই করবো। যেভাবে জাতির পিতা হত্যার বিচার করেছি।”

২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমার চাওয়ার পাওয়ার কিছু নাই। আমি শুধু বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। আমি প্রয়োজনে রক্ত দিবো। আপনারা শুধু নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।

রাজনীতি শীর্ষ খবর