নির্বাচনকালীন সঙ্কট নিরসনে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তার সাথে আরো ছিলেন কবি আল মাহমুদ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ।
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাথে কুশল বিনিময় এবং সাক্ষাৎ করতেই এসেছিলাম। তিনি সুস্থ আছেন। ভালো আছেন।”
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন সংকট নিরসনে আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। দেশে শান্তি বিরাজ করবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে তারা। দুই রাজনৈতিক দলই যদি নিজ অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে সংকট আরো প্রকট হবে। সকল দল নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।’’
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, “দুই দলই অনড় থাকলে দেশে এবং দেশের বাইরে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা সবাই অবগত। তবে আমার বিশ্বাস, এই সংকট কাটিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। আমরা আশাবাদী দেশে যে চলমান সঙ্কট তা চিরদিন থাকবে না। সমস্যার সমাধান হবেই।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান ড. এমাজউদ্দীন। তিনি বলেন, “বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা অমানবিক কাজ। এমকে আনোয়ারের বয়স প্রায় ৮০ বছর আমার বন্ধু। তার মতো বর্ষীয়ান নেতাকে গ্রেপ্তার করা ঠিক হয়নি। এছাড়া মওদুদ আহমেদকে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তিনি প্রিজন ভ্যানের ভেতরে পড়ে গিয়ে আহত হন। আশা করি, সবমিলিয়ে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।”
সাক্ষাৎ শেষে আব্দুর রউফ নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মবুঝে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। কর্তার ইচ্ছায় কাজ করা যাবে না।”