সম্প্রতি পাবনার সাঁথিয়ায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।
রোববার দুপুরে পুরানা পল্টনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
এসময় ঘটনাস্থল ঘুরে এসে সেখানকার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন দল দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। তাকে দেখে মানুষ আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, তার সাথে হামলাকারীদের অনেককে দেখে মানুষ আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। এ অবস্থায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছে না সাধারণ জনগণ।”
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরো বলেন, “পুলিশ সক্রিয় হলে এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। হামলাকারীদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর ও তরুণ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট। কিন্তু সেখানে পুলিশের ভূমিকা মোটেই সন্তোষজনক নয়।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘটনায় দুটি সুপারিশ করা হয় সিপিবি-বাসদের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো- ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদের আশ্বস্ত করা এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে পারে।
এ ছাড়া চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সিপিবির নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন।