খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজাকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক র্যাব পুলিশের উপস্থিতির কথা তুলে এ অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘এভাবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যত: খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করছে সরকার।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হোক ইনু। তিনি বিবিসিকে বলেন, বেগম জিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে প্রহরা জোরদার করা হয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতাকে গৃহবন্দি করা হচ্ছে, এমন আলোচনা আর গুঞ্জন শুরু হয় শুক্রবার রাত থেকেই। তার গুলশান অফিস ও বাসভবন ফিরোজাকে ঘিরে অতিরিক্ত র্যাব পুলিশ মোতায়েনের পর সারা দেশেই প্রশ্ন আর আশঙ্কা জন্ম নেয়। শনিবার সকালে গুলশান এলাকায় ওয়াসার লাইনে পানি ছিল না তিন ঘণ্টা। সেটিকেও কোন কোন মহল বেগম জিয়ার বাসভবনে পানি বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা হিসেবে প্রচার করে। তবে পানি আবার চালু হওয়ার পর সে প্রশ্নের জবাব মেলে।
খালেদা জিয়ার বাসভবনে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না, এমন কথাও চাউর হয় শনিবার সকাল থেকে। তবে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে দেখা করে। এর মাঝে ব্যক্তিগত ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আসা করতে পারছেন বলে নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং এর কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে হান্নান শাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ” বলতে গেলে উনি (খালেদা জিয়া) অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিককে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা যায় কীনা বাংলাদেশের জনগণ সেটা বিবেচনা করবে।”