আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “নৈরাজ্য বন্ধ না করলে খালেদা জিয়ার ভাগ্যেও একই পরিণতি হবে। তিনিও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতো গ্রেপ্তার হতে পারেন।”
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ও শহীদ নূর হোসেন দিবস ২০১৩ উপলক্ষে সর্বদলীয় সরকার গঠনে বিরোধী দলের ভূমিকা, জন দুর্ভোগের হরতাল ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শীর্ষক’ এ আলোচনা সভা কামরুল ইসলাম আরো বলেন, “আজ আমাদেরকে প্রশ্ন করা হচ্ছে- কেন বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? এ ধারা অব্যাহত থাকলে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অন্য শীর্ষ নেতাদেরও একই পরিণতি বরণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, বলেন, “আজকে যে আন্দোলন হচ্ছে তা আন্দোলন না, কোনো গণতান্ত্রিক দল এভাবে ধ্বংস করতে পারে না, এটা কোনো গণতান্ত্রিক দল না”
৭২ ঘণ্টার হতোল কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই শুক্রবার রাতে বিএনপির ৩ শীর্ষ নেতা এম কে আনোয়ার, মওদুদ আহমেদ এবং রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরপরই আবদুল আউয়াল মিন্টু ও চেয়ারপার্সনের সহকারী শিমুল বিশ্বাস গ্রেপ্তার হন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের খবরের পর হরতাল বাড়িয়ে ৮৪ ঘণ্টা করা হয়। বিএনপির চেয়ারপার্সনের বাসার সামনেও বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
হরতালের নাশকতার প্রসঙ্গ এনে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের যৌক্তিকতা উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “রাষ্ট্রীয় জানমাল-সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু তারা (বিরোধী দল) এ জানমালের জন্য হুমকি স্বরূপ। বিভিন্ন বক্তব্যে তারা নাশকতা ও উসকানির ইন্ধন, পরিকল্পনা জুগিয়েছেন। পৃষ্টপোষকতা করেছেন। যদি বিএনপি নেতারা এমন করে তবে দেশ ও দেশের বাইরে কোথাও তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বিএনপি’র উদ্দেশে বলেন, “সহিংসতা, নাশকতা আর সংলাপ এক সাথে চলতে পারে না। আগে আপনারা (বিএনপি) তওবা করে বলেন ভালো হয়ে গেছি তাহলেই সংলাপ হবে।”