দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) ষষ্ঠ বারের মতো আয়োজন করবে এইচএসবিসি তরুণ উদ্যোক্তা পুরস্কার (ওয়াইইসি)-২০১২। বাংলাদেশের স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। তরুণদের মধ্যে থেকে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা খুঁজে বের করতে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে এইচএসবিসি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু টিল্ক।
এসময় ব্যাংকের মার্কেটিং, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাসটেইন্যাবিলিটি বিভাগের প্রধান তালুকদার নোমান আনোয়ার, মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মারিয়া হক, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ইফতেখার হাসান বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ড্রু টিল্ক বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রতিভাবান তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের একটি সুযোগ পাবে। হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক পর্যায়েও নিয়ে যেতে পারবে। সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত উদ্যোক্তাদের ব্যবসাক্ষেত্রের বাস্তব অভিজ্ঞতার হাতেখড়ি দিতে এইচএসবিসি এ আয়োজন করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বরাবরের মতো এবছরও বাংলাদেশি দলগুলো চমকপ্রদ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে আসবে এবং সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় যেসব শিক্ষার্থী অংশ নিতে আগ্রহী তারা ৮ ফ্রেব্রয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবেন। ২ থেকে ৪ সদস্যের দল গঠন করে ১০০০ শব্দের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আগামী ৭ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে। পরিকল্পনা www.asiayechallenge.com/bd ওয়েবসাইটে দেওয়া ঠিকানা বরাবর পাঠাতে হবে।
এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকারি দলটি চলতি বছরের জুনে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক পর্বে এশিয়ার অন্য সাতটি দেশের প্রতিযোগিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। চূড়ান্ত এই পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে ব্রনেই, হংকং, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সাংহাই।
তালুকদার নোমান আনোয়ার বলেন, ‘গত বছর মোট ২৯৩টি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা পড়ে। এবছর আশা করছি ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে। তার মধ্য থেকে ৩০টি পরিকল্পনা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হবে। সেগুলো সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, ব্যবসায়িকভাবে টেকসই ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
তবে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে পুরো পরিকল্পনা দিতে হবে না। শুধু ১০০০ শব্দের ব্যবসায়িক ধারণা দিতে হবে। বাছাইকৃতদের নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কর্মশালা হবে। এরপর বাছাই করে সেরা পাঁচটি দল নির্বাচন করা হবে। তাদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ হবে। তারা বিচারকমণ্ডলীর সামনে নিজেদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। নির্বাচন করা হবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান। প্রথম তিন বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে ৭৫ হাজার, ৪৫ হাজার এবং ৩৫ হাজার টাকা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিজয়ী দল তারপর আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হংকংয়ে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত হবে সেরা দল।
সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখার হাসান বলেন, বিগত পাঁচটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৮টি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পাওয়া গেছে। যার চারটি বাস্তাবায়ন করা গেছে।
এদিকে, এইচএসবিসি ২০০০ সাল থেকে হংকংসহ অন্যান্য দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এ পর্যন্ত আট হাজার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পাওয়া গেছে। এতে অংশ নেয় ২১ হাজার শিক্ষার্থী।