জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার তারিখ আবারো পরিবর্তন করা হয়েছে। শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার সময় পুনর্নির্ধারণের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী, ১০ নভেম্বরের জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টায়। ১১ নভেম্বরের পরীক্ষা হবে ১৬ নভেম্বর সকাল ১০টায় এবং ১২ নভেম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২১ নভেম্বর দুপুর ২টায়।
এদিকে ১০ নভেম্বরের জেডিসি পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টায়। ১১ নভেম্বরের পরীক্ষা হবে ২১ নভেম্বর দুপুর ২টায় এবং ১২ নভেম্বরের জেডিসি পরীক্ষা হবে ২২ নভেম্বর সকাল ৯টায়।
১৮ দলীয় জোটের ডাকা ১০ নভেম্বর থেকে টানা হরতালের কারণে এ সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
হরতালের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা বাধ্য হচ্ছি অন্যায়ভাবে, চরম চাপের মুখে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে।”
শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত ধ্বংস করার জন্যই এবং তাদের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই বিএনপি-জামায়াত জোট এই হরতাল দিয়েছে।”
“ফলে এখন পরীক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে পরীক্ষা দিবে। এর মধ্যদিয়ে সুস্থ নতুন প্রজন্ম গড়ার কাজই বাধাগ্রস্ত হলো,” মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল হরতাল না দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা অনুরোধ রাখেনি। বার বার অনুরোধ করার পরও তাদের ন্যূনতম বিবেক জাগ্রত হয়নি। তারা আমার অনুরোধের এতটুকু তোয়াক্কা করেনি। এতগুলো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও তারা হরতাল থেকে এতটুকু পিছপা হননি।”
“আমি ১৯৬২ সাল থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সরাসরি অংশ নিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল পরীক্ষার সময় হরতাল দেয়নি,” মন্তব্য করেন তিনি।