শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে টানা ৭২ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ ঘণ্টা হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আগামী ১০ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ হরতাল চলবে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, “দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা থেকে বর্ধিত করে হরতাল ৮৪ ঘণ্টা করা হলো। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল চলবে।”
এ সময় তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি, তল্লাশির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “সারাদেশে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শীর্ষ নেতাদের বাসায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের মতো আমিও আতঙ্কিত। আমিও ব্যক্তিগতভাবে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছি।”
তিনি বলেন, “কাল (শুক্রবার)রাতে যখন গ্রেপ্তার শুরু হয় আমি গ্রেপ্তার এড়াতে প্রেসক্লাবে অবস্থান করি। বুঝতে পারি আমি এখানে অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। এটি একটি প্রতিষ্ঠান এখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এভাবে বেশিক্ষন থাকা ঠিক না। তাই এখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি।”
“রাত সাড়ে ৩টায় প্রেসক্লাব সংলগ্ন ব্যাংকের গেট দিয়ে বের হওয়ার জন্য আসি। সেখানে আমার গাড়িটি ছিল। তখন হঠাৎ চারিদিক থেকে ধর ধর বলে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়। তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠি। গাড়িটি বের হওয়ার সময়পেছন থেকে ৩/৪টি মাইক্রোবাস আমাকে ধাওয়া করে। তাদের চেয়ে আমার গাড়ির গতি বেশি থাকায় দ্রুত পার্টি অফিসে পৌঁছে আশ্রয় নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হইনি। পার্টি অফিসের পিয়নদের পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদের চলে যেতে বলা হয়েছে।”