চলতি অর্থবছর থেকেই স্পিকার ও এমপিদের কর দিতে হবে

চলতি অর্থবছর থেকেই স্পিকার ও এমপিদের কর দিতে হবে

জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের বেতন ও পারিতোষিক আয়করের আওতায় আনতে সংসদে পৃথক দু’টি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার ‘মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১২’ এবং স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১২’ শিরোনামে বিল দু’টি সংসদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের পক্ষে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

উত্থাপনের পর বিল দু’টি পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

দু’টি বিলেই বলা হয়েছে, ‘এই আইন ১ জুলাই, ২০১১ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।’

স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১২’ বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণভাবে বাংলাদেশি যে কোনো ব্যক্তির নির্দিষ্ট সীমার উপর অর্জিত আয় করযোগ্য। তবে স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট-১৯৭৪ অনুযায়ী স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন করমুক্ত করা আছে। ফলে তাদের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের করারোপের বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। এ  বৈষম্য দূর করতে স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১২’ বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।

‘মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১২’ বিল সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণভাবে বাংলাদেশি যে কোনো ব্যক্তির নির্দিষ্ট সীমার উপর অর্জিত আয় করযোগ্য। তবে, সংসদ সদষ্যদের পারিতোষিক করমুক্ত করা আছে। ফলে তাদের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের করারোপে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। এই বৈষম্য দূর করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।’

গত ২৮ নভেম্বর বিল দুটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।

উল্লেখ্য, গত বাজেট অধিবেশনের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী-এমপিদের বেতন করের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এ আইন না থাকায় করবর্ষের শুরুতে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও এমপিদের বেতন করের আওতায় আনতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

বাংলাদেশ