অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপল বাংলাদেশের তাদের কার্যক্রম শুরু করছে না। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দূর্বলতার কারণে বাংলাদেশে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেপল।
পেপলের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা বাংলাদেশের ৫০ হাজার ফ্রি ল্যান্সারের আর্থিক লেনদেনের জটিলতার বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেল।
তবে সংশ্লিষ্টরা এখনো আশা করছেন, আপাতত বিমুখ হলেও পেপল ইনকরপোরেট ২০১৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ও ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসিস এতটা নীতি সহায়তা দেওয়ার পরও পেপল আপাতত না আসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে পেপলকে দ্রুত নিয়ে আসতে।’
দেশের ফ্রিল্যান্সাররা গত বছর ৪ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে। এ ছাড়াও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো আয় করেছে আরো ১০ কোটি ডলার। এর বাইরেও আরো ৮ কোটি ডলার দেশে এসেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
স্বল্প খরচে এবং স্বীকৃতভাবে আয়ের অর্থ দেশে আনতে পেপলকে বাংলাদেশে আনতে পেপল একটি জরুরি মাধ্যম।
বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্টের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে একটি মতামত দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ায়। মূলত ওই প্রতিনিধি দলের মতামতের ভিত্তিতে পেপল সদর দপ্তর না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৯৩টি দেশে পেপল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এ সেবার সুবিধা উপভোগ করছেন। ২৬টি মুদ্রায় এ প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন পরিচালনা করে।