‘নতুন করে সংলাপের প্রয়োজন নেই’

‘নতুন করে সংলাপের প্রয়োজন নেই’

nasimআওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নতুন করে আর সংলাপের প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, “দুই নেত্রীর ফোনালাপের মাধ্যমে সংলাপ হয়ে গেছে। আমাদের নেত্রী বলেছেন সবর্দলীয় সরকারের অধীনে নিবাচন হবে। বিরোধী দল বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের  অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নতুন করে আর কি বলতে হবে।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি কেএম শফিউল্লাহ, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া এবং সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অজয় রায়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “আমাদের পাঁচ বছরের একটি যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। গত নির্বাচনে আমরা জনগনের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কাযর্কর হয়েছে।এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। আন্তর্জাতিকভাবে এখনও এ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। এটা আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে। এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই অনেকের বিচারের রায় কাযর্কর হবে।”

নাসিম আরো বলেন, “আমাদের দেশের নোবেল বিজয়ী দেশ এগিয়ে যাওয়া কথা না বললেও অমর্ত্য সেনের মতো লোক আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয় দেশী-বিদেশী অনেক শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”

তিনি বলেন, “বিরোধী দল যদি নির্বাচন ঠেকানোর চক্রান্ত করে তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এটা কোন দলের ভোট না এটা মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রশ্ন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংলাপতো হয়েই গেছে। আর কি সংলাপ। নতুন করে সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।টেলিফোনের সংলাপের মাধ্যমে কথা হয়ে গেছে। সেখানেই দেখা গেছে একজন কতটা বিনয়ী আর একজন কতটা কর্কশ ভাষায় কথা বলেছেন।”

কে খন্দকার বলেন, “জিয়া ক্ষমতায় এসেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে আগামীতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার বিকল্প নেই।”

বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর