বিরোধীদলীয় নেতাকে গণভবনে বসার যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা এখনো বহাল রয়েছে বলে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া সংলাপের দাওয়াত এখনো বহাল আছে। তিনি যেকোনো সময় আসতে পারেন।”
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আনিসুল হক, এ কে আজাদ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টা ২০ থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই নেত্রীর ফোনালাপের পর সংলাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে উদ্যোগী হন ব্যবসায়ী নেতারা। গত সপ্তাহে জরুরি এক বৈঠকের পর খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে তারা প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথা বলেন।
ওই বৈঠকের পর এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুই দলের মহাসচিবকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং তাতে রাজি হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী ইতোমধ্যে ‘নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা’ গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি বলে আসছে, এভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনেও তারা যাবে না। প্রধান দুই দলের এই বিরোধে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর বিরোধী দলীয় নেতাকে টেলিফোন করে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সে সময় বলেছিলেন, ১৮ দলীয় জোটের হরতাল শেষে তিনি ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন। এরপর দুই দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সংলাপের কথা বলা হলেও কেনো উদ্যোগেই সুফল না আসায় ব্যবসায়ীরা তৎপর হন। গত ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা আর কোনো ‘তৃতীয় শক্তিকে’ ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তারা সমঝোতা চান।