আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “সমঝোতার সুযোগ এখনো ফুরিয়ে যায়নি। রাজনৈতিক অহমিকা না দেখিয়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন। সরকার সবসময় বিরোধী দলের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি; আয়োজিত ‘সর্বদলীয় মন্ত্রীপরিষদ গঠন-আগামী সংসদ নির্বাচন এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দেশের যে রাজীনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা দুই দলের আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার সবময় বিরোধীদলের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক অহমিকা না দেখিয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় বসা।
তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলের পর পর টানা হরতালের কারণে দেশের মানুষ রাজনীতির প্রতি ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ।
নির্বাচন কালীন মন্ত্রীপরিষদ গঠন সম্পর্কে সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হবে তাতে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের তালিকা পাঠানোর জন্য আহ্বান করা হল।
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা চাইলে যেকোনো মন্ত্রণালয় বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়া যদি কোনো মন্ত্রণালয় পছন্দ করেন তিনিও সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন। শেখ হাসিনা যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান সেহেতু তিনি মন্ত্রী পরিষদের প্রধান থাকবেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সময়মত নিবাচনীয় তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর নতুন আচরণ বিধি কার্যকর হবে। আর এ নতুন আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি দল ও বিরোধীদলের সব নেতা-কর্মীরা একই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড বজায় থাকবে।
এসময় পাবনার সাথিয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সংগঠনের উপদেষ্টা আবুদল খাদের খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী ও সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী।