হেমন্ত কালের শুরু থেকেই শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আগাম স্থানীয় বাইশমুঠি ও বিনা-৭ জাতের আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে।অভাবের সময় ধান কাটতে পেরে খুশি কৃষকেরা।
তারা জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে পোড়াগাঁও, নন্নী, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া ও কাকরকান্দি ইউনিয়নের ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা স্থানীয় বাইশমুঠি জাতের ধান চাষ করেন। এছাড়া প্রায় সবখানেই বিনা-৭, পাইজাম, হরি, স্বর্ণলতা, তুলসিমালা, ব্রি-ধান-৪৯ জাতের ধানও চাষ করে।
নালিতাবাড়ীতে নতুন ধান পেয়ে ঘরে ঘরে যেন নবান্ন উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। কাজের ব্যস্তার মাঝে কৃষক-কৃষানীরা হাসি মুখে ধান ঘরে তুলছেন। এ বছর প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকার কারনে আবাদ ভালো হওয়ায় ফলন ভালো হবে বললেন,কৃষক নজরুল ইসলাম।
কৃষক মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী জানান, ইতোমধ্য ১ একর জমির বাইশমুঠি জাতের ধান কেটেছেন। একর প্রতি কমপক্ষে ৪০ মণ হারে ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাইশমুঠি জাতের ধান প্রতি মণ ৮’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বাতকুচি গ্রামের মৃত অছিম উদ্দিন ৮/৯ বছর আগে ভারত থেকে ১০কেজি বাইশমুঠি বীজধান বাংলাদেশে আনেন। পরে এই ধান ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।