চিরচেনা বার্সাকে যেন বেশ অপরিচিত লাগছিল এই ম্যাচে। এস্পানিওলের বিপক্ষে এক গোলের জয় পেয়েছে বার্সা।
বার্সেলোনা যদি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমন ভাগের অধিকারী হয়, তাহলে এস্পানিওল সবচেয়ে ভালো রক্ষনভাগের দাবিদার। বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থেকেও সমান খেলেছে বার্সার বিপক্ষে।
প্রথমার্ধে বার্সার বেশ কয়েকটি দলবদ্ধ আক্রমন গোলের দেখা পায়নি। ছেলে থিয়াগোর প্রথম জন্মদিনে কোন গোলই পেলেন না মেসি। প্রথমার্ধে মেসির ফ্রি কিক বারের উপর দিয়ে যায়।
খেলার ৪৩ মিনিটে দানি আলভেসের শট বারে লাগে এস্পানিওলের। বসে থাকেনি এস্পানিওল মাঝে মধ্যেই পাল্টা আক্রমন করেছে।
এস্পানিওলের ডিফেন্স বার্সার মহাথীদের একের পর এক রুখে দিলে প্রথমার্ধে কোন গোলই পায়নি বার্সা।
খেলার ৫৩ মিনিটে আলভেসের বাড়িয়ে দেয়া বলে শক্তিশালী শট নেন মেসি। কিন্তু কিপার কেসিলা তা ঠেকিয়ে দেন।
সাফল্য আসে এলেক্স সানচেজের হাত ধরে। নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বলে গোল করেন চিলির এই নবাগত তারকা। ৬৩ মিনিটে বার্সার হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
তার পরে বেশ কয়েকটি আক্রমন করে বার্সা। কিন্তু গোলের দেখা পেলো না। শেষ বাঁশি বাজার আগে পর্যন্ত চেষ্টা করেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারে নি তারা।
আর এই ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। ১২ ম্যাচে ১১টি জয় একটি ড্র করে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।