সম্প্রতি ভারত সরকার নরওয়েভিত্তিক মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিনরের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০০৮ সালে টেলিনরের বিরুদ্ধে ২২টি অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এক নির্দেশ জারি করে ভারতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার।
টেলিনরের এশিয়া কার্র্যক্রমের প্রধান সিগভি ব্রিক বলেন, ভারত সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু টেলিনর এ ব্যাপারে পর্যালোচনা করবে বলেও তিনি জানান।
সিগভি বলেন, ‘যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় আমি রাগান্বিত না হতাশ? হ্যাঁ, আমি রাগান্বিত এবং হতাশ। কারণ এটা খুবই পরিস্কার যে অবৈধভাবে আমাদের ক্ষতি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে আমরা রাগান্বিত। কিন্তু আমরা আমাদের কার্যক্রম থেকে সরে যাবো না বা মরেও যাবো না।’
গত বৃহস্পতিবার ১২২টি প্রতিষ্ঠানের ২জি লাইসেন্স বাতিল করে ভারত সরকার। আদেশ আনুযায়ী চারমাস তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলে সরকার। আদেশে বলা হয়, টেলিকম রেগুলেটরি নিলামের মাধ্যমে তাদের লাইসেন্স এবং প্রস্তাব উপস্থাপন করতে হবে।
এর ফলে টেলিনরের মতো যে সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল তারা আবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।
ব্রিক বলেন, টেলিনর নিলামের সব বিষয় এবং নির্ধারিত মূল্য পর্যবেক্ষন করে তারপর আবেদন করবে। এই নিলামে তারাই আবেদন করতে পারবে যারা ২০০৮ সালে লাইসেন্সের অনুমোদন পেয়েছিল।
টেলিনর ২০০৮ সালে ভারতে প্রবেশ করে। সে সময় ভারতীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ইউনিটেক স্থাপিত নাসসেন্ট মোবাইল ফোনের বিশাল অংশের শেয়ার কিনে নেয় তারা।
টেলিনর ৬৭ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেছিল। বাকি অংশ রয়েছে ইউনিটেক হোল্ডিংন্সের কাছে।
এই যৌথ উদ্যোগটি পরিচালনা করছে ইউনিনর। নতুনদের মধ্যে আসা এটিই সবচেয়ে বেশি আক্রমনাতœক। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে। শেয়ারের শতাংশের দিক থেকে ৪ শতংাশ।
তবে টেলিনরের বেশিরভাগ শেয়ার নরওয়ের সরকারের হাতে। এ ব্যাপারে নরওয়ের সরকার থেকে জানানো হয়, নরওয়ে ভারতের এই বিষয়টি দেখছে। ভারতে কিভাবে তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করা যায় তা নিয়ে সমাধানের রাস্তা বের করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ফোন। বেশ কয়েকবছর আগে টেলিনরের সঙ্গে গ্রামীন ফোন চুক্তিবদ্ধ হয়।