নিরাপদ বিনিয়োগে ‘সঞ্চয়পত্র’র দিকে ঝুঁকছে মানুষ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব, ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম, পুঁজিবাজারে অনাস্থা ও আমানতে সুদের হার কমায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। ফলে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্রে লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশ তিন মাসে অর্জন হয়েছে। এ সময়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়েছে দুই হাজার ৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশ তিন মাসে অর্জন হওয়ায় ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্র, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ছয় মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। সরকারি হওয়ায় এগুলোকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এসব সঞ্চয়পত্র জাতীয় সঞ্চয়পত্র পরিদপ্তরের কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, তফসিলি ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে নির্ধারিত ফরম পূরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ক্রয় করা যায়।
এ বিষয়ে সঞ্চয় পরিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বা নীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এরপর অর্থবছরের শুরু থেকে বিক্রি বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে মোট বিনিয়োগ হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে মূল বিনিয়োগ পরিশোধ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সুদ পরিশোধ করা হয়েছে এক হাজার ৮৬৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। মূল বিনিয়োগ ও সুদ বাদ দিয়ে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।