বিশ্বকাপে আয়-ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল বলতেন, একটি জমকালো অনুষ্ঠান করে সব জানাবেন। বছর হতে চলেছে সেই দিন আর আসেনি। যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ সফল হয়েছে তারা হয়তো বিসিবি সভাপতির প্রতিশ্রুতির কথা ভুলেই গেছেন।
প্রত্যেকের উৎসাহে যখন ভাটা পড়েছে তখনই খবরটা দিলেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। বিশ্বকাপ সফল আয়োজনে যাদের সম্পৃক্ততা ছিলো তাদেরকে নিয়ে একটি পুনর্মিলনী হচ্ছে। একবছর আগে যে দিনে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিলো, সেই ১৭ ফেব্রুয়ারি হবে পুনর্মিলনী। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ দেওয়া হবে।
আসলে বিসিবি সভাপতি তার প্রতিশ্রুতির কথা ভোলেননি। অপেক্ষায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে অনুষ্ঠান করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হতে সম্মতি দেওয়ায় পুনর্মিলন অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। দেরি হওয়ার পেছনে মোস্তফা কামালের যুক্তি,‘আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যই আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তিনি ছিলেন বিশ্বকাপের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। উনাকে ছাড়া অনুষ্ঠান হয় কি করে। বিশ্বকাপে যাদের সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো তাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হবে। স্বেচ্ছাসেবক, নিরাপত্তাকর্মী, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শিল্পীসহ অনেকেই সনদ পাবেন। আয়-ব্যয়ের হিসেবও দেওয়া হবে। ওই দিন বলতে পারেন উৎসব হবে।’
মিরপুর সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপ পুনর্মিলনী। দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবে সেখানে। ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ তো থাকবেই। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী। আইসিসির সভাপতি শারদ পাওয়ারকেও অতিথি হওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারবেন না।