ফোনলাপের বেশিরভাগ পয়েন্টে আমাদের নেত্রী জয়ী হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংলাপ বা আলোচনা জন্য ফোন করেননি। তিনি জনগণকে দেখাতেই মূলত এ কাজ করেছেন। দাওয়াত দিতে চাইলে ৩৭মিনিট লাগে না বরং ২ মিনিটই যথেষ্ট। তাছাড়া ফোনলাপের বেশিরভাগ পয়েন্টে আমাদের নেত্রীই জয়ী হয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি সহযোগী সংগঠন ঐক্যপরিষদ আয়োজিত কিংবদন্তী সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমেদ বলেন, “এত তিক্ততার পরেও প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে যে ফোনালাপ হয়েছে এটা সবার জন্য খুশির খবর। এটাকে জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। তবে ফোনলাপের পর অনেক প্রশ্ন উঠেছে।”
তিনি বলেন, “ফোনলাপে প্রধানমন্ত্রী ২১ আগষ্ট, খালেদার জিয়ার জন্মদিন ও লাল টেলিফোন কল দেওয়া নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেন। এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে প্রধানমন্ত্রী আসল উদ্দেশ্যটাকে হতাশ করে দিয়েছে।”
এ সময় দুই নেত্রীর ফোনআলাপ প্রকাশের জন্য সরকারকে দায়ী করেন মওদুদ।
তিনি বলেন, “আমরা সব সময়ে সংঘাতের বাহিরে ছিলাম। সরকারকেই এখন সংঘাত নিরসন করার উদ্দ্যোগ নিতে হবে। আমরা সংলাপের পক্ষে। যেহেতু দাওয়াত বহাল আছে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে সময়সূচি নির্ধারণ করলেই আমাদের নেত্রী দাওয়াতে যাবেন।”
মওদুদ আরো বলেন, “সংলাপ না হলে আমাদের সবার জন্য বুমেরাং হবে।”
আরপিও সংশোধনী সম্পর্কে তিনি বলেন, “এ সংশোধনীর ফলে প্রচুর টাকা নিয়ে যারা দলে যোগ দিবে। তারাই মনোনয়ন পাবে। অথচ পূর্বে ছিল কেউ মনোনয়ন পেতে হলে অন্তত তিন বছর তাকে সেই দলের সদস্য থাকতে হবে। এ সংশোধনীর কারণে রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতে থাকবে না।”
“নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ট। নির্বাচন কমিশন আরপিও যে বিধিমালা তৈরি করছে, তা অর্থহীন। দেশের জনগণ এ আরপিও চায় না। নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রখ্যাত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর স্মরণে একটি প্রতিষ্ঠান করা হবে বলে জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি মেজর (অব.) হানিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমত্ল্লউল্লা