দুই নেত্রীর ফোনালাপ সরকার প্রকাশ করেনি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই ফাঁসের ঘটনা বেআইনি হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে গণ সংলাপ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধী সমাজের প্রতিনিধেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “দুই নেত্রীর আলাপ রাষ্ট্রীয় ঘটনা এবং সরকার এটা রেকর্ড করেনি। বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকায় যারা আংশিক প্রকাশ করেছিলেন তাদেরকে পূর্ণ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিলাম।”
তিনি উল্লেখ করেন, “দুই নেত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে এটা প্রকাশ করা উচিত, আমি শুধু ন্যায় অন্যায় প্রসঙ্গে বলেছিলাম, তারপরও যারা আমার বিচারের কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমি কাঠগড়ায় দাড়াতে রাজি আছি।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এবং আমার সরকার এ ফোনালাপ প্রকাশ করেনি। তথ্য প্রযুক্তি আইনে এটা বেআইনি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
“আমি যদি এটা করে থাকি তাহলে আদালত আমাকেও ডাকতে পারে, আমি যেতে রাজি আছি। তবে যারা এটা করেছে আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।”
তিনি আরো বলেন, “এখন শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নাকি নাটক করেছেন, এটা ডাহা মিথ্যা কথা, সেখানে গণমাধ্যম কর্মীরাও ছিলেন, তারা শুরু করে দিয়ে সেখান থেকে চলে এসেছিলেন।”
ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গণসংলাপ অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেছেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মী মিলি চৌধুরী।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তব নয়, তিনি দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টাদের কাছ থেকে দশজন খুজে নেওয়ার কথা বলছেন। আমি প্রশ্ন করছি উনি দশজন কোথায় পাবেন, দশজন তো নেই।”
খালেদা জিয়া বলছেন, “একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করতে হবে, উনি বুকে হাত দিয়ে বলুক দুই দল একজনকে খুজে পাবে?”
বিরোধী দলীয় নেত্রীর উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাকে আবারো বোমাবাজি বন্ধ করে, সন্ত্রাস বন্ধ করে সংলাপে আসার আহ্বান জানাচ্ছি, না হলে আপনি খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের ট্রেন মিস করবেন।”
অনুষ্ঠানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল হেফাজতে ইসলাম ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের কড়া সমালোচনা করেন।