বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বিরোধ চলছে তা নিষ্পত্তির জন্য ওই অঞ্চল সরেজমিনে ঘুরে গেছেন হামবুর্গের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট জার্মানির রুডিয়ার উলফ্রামের নেতৃত্বে কমিটির চারজন সদস্য প্রচুর নথিপত্র ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বুধবার ঢাকায় পৌঁছান। পরদিন তারা বাংলাদেশী নৌবাহিনীর একটি হোভারক্র্যাফটে চেপে বঙ্গোপসাগরে বেরিয়ে পড়েন। পরে মাঝসমুদ্রে তাদের তুলে নেয় ভারতীয় একটি হোভারক্র্যাফট।
ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপেও তারা বঙ্গোপসাগরের আকাশে বহুক্ষণ ঘুরে সমুদ্রের বিরোধপূর্ণ অংশটি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন থাকায় ভারত-বাংলাদেশ কোনো পক্ষই ট্রাইব্যুনালের এই সফর নিয়ে মুখ খুলছে না।
রোববার বিবিসি বাংলা সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষকদের যন্ত্রপাতি নিয়ে যশোরে অবতরণ করে। ১৯৭১ সালের পর এটাই প্রথম বাংলাদেশের আকাশে ভারতীয় সামরিক হেলিকপ্টারের প্রবেশ।
এমন ঘটনাবহুল পরিদর্শন শেষে শনিবার কলকাতা থেকে ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা ফিরে গেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট উলফ্রাম কিংবা তাঁর সতীর্থ – গানার টমাস মেনসা, অস্ট্রেলিয়ার ইভান শিয়ারার কিংবা ফ্রান্সের জঁ পিয়ের কট – কেউই তাদের সফর নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।