আওয়ামী লীগ কখনোই সংলাপ চায় না’ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “সরকার সংলাপের নাটক তৈরি করে এর দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। তবে বিএনপি সমস্যার সমাধানে সংলাপের ব্যাপারে শুধু আশাবাদীই নয়, বিশ্বাস করে।”
এসময় তিনি চলমান হরতাল কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে সংলাপে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব একথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, “সংলাপের জন্য কে যোগাযোগ করবে সেটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা হচ্ছে কিনা। আমরা অন্যদিকে না গিয়ে মুখ্য বিষয় নিয়ে থাকতে চাই। তবে সরকার যেহেতু চালকের আসনে, তাই আমরা মনে করি উদ্যোগ নেওয়া সরকারের দায়িত্ব।”
ফখরুল জানান, সৈয়দ আশরাফকে দেওয়া চিঠির এখনো কোনো জবাব তিনি পাননি।
হরতালে সারাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করছে দাবি করে ফখরুল বলেন, “গতকালের (রোববার) মতো আজকেও (সোমবার) হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে পুলিশ সরাসরি গুলি করছে। কিন্তু জনগণ এসব হামলা মোকাবিলা করে রাজপথে গণঅভুত্থান সৃষ্টি করেছে।”
তিনি অবিলম্বে ‘সরাসরি’ গুলি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সংসদে গ্রামীণ ব্যাংক বিল উত্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “আমরা শুরু থেকে গ্রামীণ ব্যাংক সরকারিকরণের বিপক্ষে। আমরা মনে করি, এই প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার শামিল।”
সরকার ড. ইউনূস, ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও ড. আকবর আলি খানসহ দেশের সম্মানিত লোকদের সম্মানহানি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে হরতালের দ্বিতীয় দিনেও নয়াপল্টন এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার পর দ্বিতীয় দিনের হরতাল পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে।