আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে ‘অব্যাহতি’ দেয়া হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে মাহবুব উল আলম হানিফের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর (হানিফ) চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাহবুব উল আলম হানিফ বলে, ‘আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ লাভজনক হওয়ায় আমি নিজেই পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
“আমি এর আগে নিজে থেকেই চার-পাঁচবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আমার এলাকায় সময় দেওয়া প্রয়োজন।”
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন করে এলাকার জনমত যাচাই করে আসুন” যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী গণভবনে কুষ্টিয়া জেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাহবুব উল আলম হানিফের পক্ষে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা চান। কিন্তু আসনটি থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নির্বাচিত হয়েছেন এবং আসনটির প্রার্থিতা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিছুটা কলহ দেখা দেয়। পরবর্তীতে হানিফ ভেড়ামারা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন।
কয়েকটি সূত্র জানায়, কমিটি ভেঙে দেওয়ায় হানিফের ওপর বিরক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন এ কমিটি ভাঙা হলো? -বিষয়টি হানিফের কাছে জানতে চান তিনি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত ছিলেন।
ওই বৈঠকে কুষ্টিয়ার একাধিক নেতা ওই আসনে হাসানুল হক ইনুকে প্রার্থী করা হলে জয়ী হতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন। তারা হানিফকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলীয় প্রধানকে অনুরোধ জানান। শেখ হাসিনা তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বৃহত্তর ঐক্য চাইছেন। কিন্তু মহাজোটের শরিক একটি দলের সভাপতি মনোনয়ন পাবেন না -এটা হতে পারে না।