৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের জনসভা

৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের জনসভা

aligআগামী ৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জনসভাটি জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে হলেও প্রায় ৫ লাখ লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেল হত্যা দিবসে প্রতি বছরের মতো এবারও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবসকে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনসভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই জনসভাকে সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।

গত শুক্রবার ১৮ দলীয় জোটের ডাকা সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ করে নিজেদের জনসমর্থন জানান দিতেই আওয়ামী লীগের এ সমাবেশের প্রস্তুতি বলে মনে করছেন অনেকে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘৩ নভেম্বরের জনসভা সম্পর্কে আমাদের কোন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশ আসবে আমরা তা অক্ষরে অক্ষের পালন করব।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত পরিবর্তনকে বলেন,  আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের জনসভা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওই জনসভা হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের জনসভা। বিরোধী দল ওই জনসভা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে, আসলে জনগন কী চায়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইতিমধেই দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এর একটি হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। অন্যটি হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীপক্ষ ১৮ দলীয় জামায়াতী শক্তি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে লাখ লাখ মানুষ ওই জনসভায় অংশ নিবে। ওই জনসভা থেকেই প্রমাণ হবে দেশের জনগণ আগামীতে কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়- স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নাকি বিপক্ষর শক্তি?

মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, ৩ নভেম্বরের জনসভায় ৫ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের। জনসভাটি হবে রাজধানী ঢাকার সর্বকালের বৃহৎ জনসভা।

এর আগে ২৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ। তবে ডিএমপি ২০ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

বাংলাদেশ রাজনীতি