বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “হরতাল প্রতাহারের কোনো সুযোগ নেই। তবে ২৯ তারিখ হরতালের পরে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি।”
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা একটি বিষয়ে আলোচনা করতে চাই, সেটা হলো নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।”
তিনি বলেন “আমরা আশা করছি সরকারের পক্ষ থেকে এ আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী সময়ে আরো হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে কি না।”
তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমরা হরতাল কর্মসূচী দিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমরা বারবার সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ আন্দোলন করছি।”
হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলছে। এ দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।”
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “অনেক দেরিতে হলেও বিরোধী দলীয় নেত্রীকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।