বিরোধী দল হরতাল প্রত্যাহার করলে আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, “বিএনপি যদি হরতাল প্রত্যাহার করে তবে আমরা সংলাপে বসবো।”
শনিবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪দলের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল অভিযোগ করেন, “জাতি লক্ষ্য করেছে, যখনই আমরা রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে যাই, দেশ এগিয়ে যায়, তখন বিরোধীদল এই ধরনের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দেয়।”
শুক্রবার খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “খালেদা বলেছেন, তিনি আমাদের দুইদিন সময় দিয়েছেন। কিন্তু সময় তো আজ মাত্র একদিন।”
সংসদে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তোফায়েল বলেন, “তারা এসে পয়েন্ট অফ অর্ডারে ২০ জন উপদেষ্টার কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ২০ জনের মধ্যে এখন মাত্র সাতজন আছেন যাদের নাম প্রস্তাব করা যায়। বাকিরা অসুস্থ, মৃত বা দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক। এরপরও আমরা বলেছি তাদের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে রুলস অফ অর্ডারে দেওয়ার জন্য। তারা তা না করে ওয়াক আউট করলেন।”
যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে বক্তব্য দেওয়ায় খালেদা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কলুষিত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, “দেশে যখন সংলাপের সুবাতাস বইছে, বিরোধী দলীয় নেত্রী সরকারকে আল্টিমেটাম। আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের হুমকি দিয়ে তারা আলোচনা পথ রুদ্ধ করেছেন।”
আল্টিমেটাম চাপের মুখে কখনো সংলাপ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, “হরতালের ঘোষণা দিয়ে সংঘাতের পথ বেছে নিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। আমি বিরোধী দলীয় নেতাকে বলবো, আগামীতে নির্বাচনের আগে যে কয়টা দিন সময় আছে সংঘাতের পথ পরিহার করে সংবিধানের পথে আসেন।”
তিনি আরো বলেন, “জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে নির্বাচনের পথে আসুন। আপনি প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আপনি সংঘাতের পথ ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে আসে।”
খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম তিনি প্রস্তাব দেবেন। এই সুযোগে তিনি গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবেন। কিন্তু তিনি অহেতুক নির্যাতনের কর্মসূচি দিলেন।”
নাসিম বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) বার বার সরকারকে অবৈধ বলছেন। আমি তাকে বলতে চাই, তিনি কি সংবিধান পড়েছেন? সংবিধান ও জনগণ আমাদের পাঁচ বছরের জন্যে ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তা অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জানুয়ারির পর। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্তই সংসদ ও সরকার বহাল থাকবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ সাধারন সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।