দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
তিনি বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খালেদা জিয়ার সাথে শিগগিরই কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এজন্য খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসী পথ পরিহার করে আলোচনায় এগিয়ে আসতে হবে।”
শনিবার শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘দেশজুড়ে বিএনপি জামায়াতের বোমা হামলা-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য-নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, হুমকী-ধমকী ও সহিংসতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্যই খালেদাকে আলোচনায় আসতে হবে।”
সুরঞ্জিত সেন বলেন, “আল্টিমেটাম দিয়ে খালেদা জিয়া সংলাপ ও সমঝোতার পথকে বাধাগ্রস্ত করেছে।”
খালেদার বক্তব্যকে অসার ভিত্তিহীন ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট বোমা হামলা চালিয়েছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।”
বিরোধী দলকে আলোচনার বসার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “আসুন, সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে আলোচনা করে নির্বাচন করি। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
অভিযোগ করে সুরঞ্জিত আরো বলেন, “বিএনপি জনগণের শাসন মেনে নিতে পারে না। এখনও সামরিক অর্ডার, নোটিফিকেশন এইগুলো নিয়ে ভাবে।”
খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করে আসছেন। দেশে অশান্তির দরকার নেই। অশান্তি করে যুদ্ধাপরাধীদের বাচাঁনো যাবে না।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও মো: খোরশিদ আলম কবির।