মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.মুজিবুর রহমান মিয়া ও শাহিনুর ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত হয়নি ৬টি অভিযোগ। এছাড়াও বাকি ২টি অভিযোগের সাক্ষী আদালতে উপস্থিত করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রমাণিত না হওয়া অভিযোগগুলো হলো ৩, ৪, ৫, ১১,১৩, ১৫,১৬ ও ১৭ নং। প্রমাণিত হয়েছে ১,২, ৬, ৭, ৮, ৯,১০, ১২ ও ১৪নং অভিযোগ।
এরমধ্যে ১নং অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬,৭,৯,১২ নং অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২,৮,১০,১৪ নং অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানান, প্রমাণিত হওয়া অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার বিরুদ্ধে ১৯১ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ পড়া শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে রায়ের আগে কোনো মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল-২। ওই দিনই রাষ্ট্রপক্ষের (প্রসিকিউশনের) আবেদনের ভিত্তিতে আব্দুল আলীমের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং এসব অপরাধে উসকানি ও সহযোগিতার ১৭টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক জানান, রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জন সাধারনের সুবিধার্থে ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকার রাস্তাগুলো যান চলাচলের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।