চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘটনায় আহত আরেক ছাত্র জুবায়ের আহমেদ (২৪) মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মুফতি ইজাহারের ছেলে হারুন ইজাহারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গত সোমবার সকালের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ইজহারুলের ছেলে হারুন বিন ইজাহারকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মুফতি ইজাহার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন)শাহ মো.আব্দুর রউফ।
বুধবার ভোরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ছাত্র জুবায়ের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে লালখান বাজার মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের ৩ তলার একটি কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে হাবিবুর রহমান নামে এক ছাত্র মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। আহত অপর দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার ৪ তলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই কক্ষের জানালা উড়ে যায়।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার পর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই কক্ষ থেকে হাতে তৈরি ৩টি তাজা বোমা এবং লোহার পাইপ, মার্বেলসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত ৪ জনসহ মোট ৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় পুলিশ খুলশী থানায় দুটি মামলা করেছে। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও এসিড আইনে করা মামলা দুটিতে মাদ্রাসার পরিচালক ও অধ্যক্ষ মুফতি ইজাহারুল ইসলাম, তার ছেলে হারুন ইজাহারসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- সোমবার মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার হওয়া ৫ শিক্ষক-কর্মচারী, আহত ৪ ব্যক্তি ও অপর একজন মাদ্রাসার কর্মী। এ ছাড়া অনেক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিও জড়িত আছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।