অবশেষে চিকিৎসায় গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, নিজেদের ভুল চিকিৎসা স্বীকার করে ঢাবির শিক্ষার্থী মাসুমের উন্নত চিকিৎসার দায় নিয়েছে ল্যাবএইড।
জানা গেছে, মাসুমের উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব সিঙ্গাপুর পাঠাতে সম্মত হয়েছে তারা। সেখান থেকে যদি মাসুমের ক্যান্সারকে নিরাময় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, তাহলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিবে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী জানান, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইডের পক্ষ থেকে মাসুমকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি দেখা যায় কেমোথেরাপির মাধ্যমে মাসুমকে বাঁচানো সম্ভব, তবে কেমোথেরাপি দেয়া হবে।
তবে সেখানকার ডাক্তাররা যদি ঘোষণা করেন যে মাসুমের আর বাঁচার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে মাসুমকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
টাকার অঙ্ক কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৩০ লাখ।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বাসভবনে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় মাসুমের পরিবারের সদস্যরাসহ উপস্থিত ছিলেন তার বিভাগের শিক্ষকরা।
ল্যাবএইডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অভিযু্ক্ত ডাক্তার আমজাদ হোসেনসহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক ডা. মাহবুবুল ইসলাম ।
আলোচনার মধ্যস্থতা করেন ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
উল্লেখ্য, একই হাসপাতালের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার ফলে ২০১১ সালের আগস্টে মারা যান বিশিষ্ট সংগীত গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মৃদুল কান্তি। হাইকোর্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় মৃদুল কান্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দেয় ল্যাবএইড।