চট্টগ্রামের লালখানবাজার জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিস্ফোরণে একটি কক্ষ ভষ্মীভূত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ডিউটি অফিসার এস আই তরিকুল। তবে নিহত ব্যক্তির নাম প্রাথমিকভাবে হাবিব বলে জানা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার পুরো পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় সিএমপির খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী এবং তার ছেলে মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান এস আই তরিকুল।
মুফতি ইজহারসহ মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আমরা চেষ্টার ত্রুটি করবো না। যেকোনো মুহূর্তে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন বলেও সিএমপির এক সূত্রে জানা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বোমার বিস্ফোরণে ভষ্মীভূত হয়েছে কক্ষটি। কক্ষ থেকে বিস্ফোরকের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে আইপিএস বা ইউপিএস বিস্ফোরণের কথা বললেও বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিস্ফোরক দলের তদন্ত শেষে পুলিশ কমিশনার জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যের কারণেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসার দারুল এবতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ ছাত্র আহত হয়, যার মধ্যে এক ছাত্রের অবস্থা গুরুতর।
এ ছাড়া ওই কক্ষের জানালার গ্রিল উড়ে গেছে ও সিলিংফ্যান বাঁকা হয়ে গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণে ওই ছাত্রের হাতের কবজি উড়ে গেছে। মাদ্রাসার ছাত্রদের দাবি, সকালে আইপিএস বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত পরিচালিত পুলিশের তল্লাশি অভিযানে তিনটি তাজা গ্রেনেড, বেশ কিছু এসিডের বোতল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, অভিযান চলাকালে পুলিশ মাদ্রাসার তিন শিক্ষক-আবদুল মান্নান, তাফসির আহমদ ও মো. ইসহাক, হাবিবুর রহমান নামে এক ছাত্র এবং হোস্টেলের ডাইনিং স্টাফ মুনির হোসেনকে আটক করে। ইতিপূর্বে বিস্ফোরণে আহত চিকিৎসাধীন পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।