পপ সম্রাজ্ঞী ‘ম্যাডোনা’-কেও পুরুষের লালসার শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি সে নিজের মুখে স্বীকারও করলেন এক ম্যাগাজিনের কাছে। পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে প্রথম যখন তিনি নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে ছুরি দেখিয়ে একটি বহুতলের ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি তাঁর পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাতও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাডোনা। শুক্রবার এক ম্যাগাজিনে নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে৷
ক্যারিয়ার গড়তে ম্যাডোনা যখন পা দিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের মাটিতে তখন মার্কিন ওই শহর তাঁর কাছে ছিল অপার বিস্ময়। নিউ ইয়র্কের ট্রাফিক, মানুষের চালচলন কিছুই ভাল লাগত না৷ সব কিছু নতুন মনে হতো তার কাছে। সে যেন একা হয়ে পড়েছিলেন তবুও মনের মধ্যে যত্নে লালিত হচ্ছে স্বপ্নগুলো সে দেখতে থাকে৷ কিন্তু সেই স্বপ্নকে সার্থক করতে গেলে প্রয়োজন অর্থের৷ কিন্তু আজকের এই পপ সম্রাজ্ঞীর তখন ঝুলি ঝাড়া অবস্থা৷ যে বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন, তার টাকা মেটানোর মতো সাধ্য তার ছিল না৷ তাই বাধ্য হয়েই একটি আর্ট ক্লাসে চাকরি নিলেন৷
আর্ট ক্লাসে তার কাজ ছিল, ছাত্র- শিক্ষকদের সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা৷ ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাডোনা বলেছেন, আর্ট ক্লাসের ছাত্রদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ত তাঁর নগ্ন শরীরে৷ তাঁর গোপন অঙ্গগুলো তখন প্রতিদিন ফুটে উঠছে ক্যানভাসে৷ দাঁতে দাঁত চেপেও তা সহ্য করতে হয়েছে ম্যাডোনাকে৷ এই অবস্থায় একদিন ধারাল ছুড়ির ফলা এসে ঠেকল পিঠে৷
একটি বহুতলের ছাদে নিয়ে গিয়ে ম্যাডোনাকে ধর্ষণ করল এক যুবক৷ কিন্তু ওই শহরে তখন কাউকে সে কথা বলতে পারেননি ম্যাডোনা৷ প্রতিদিন লড়াই করেছেন৷ জীবন তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে৷
একদিন যে মেয়ে অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম চালিয়েছেন, ভাগ্যের ফেরে বিশ্বের কোনায় কোনায় তিনি এখন চর্চার বিষয়৷ সাধারণ মেয়ে থেকে হয়ে উঠেছেন পপ সম্রাজ্ঞী ৷
অল্প বয়সেই বিয়ে করেন তিনি৷ তারপর সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ আবার নতুন সম্পর্ক৷ জীবনের মায়াবী খেলায় আজ অনেকটাই অভিজ্ঞ তিনি।
ম্যাডোনা ছবি পরিচালনা করেছেন। ম্যাডোনার কথায় ছবি পরিচালনাই সব থেকে কঠিন৷ মুসলিম দেশগুলিতে নারী শিক্ষার প্রসারে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি৷ সফলতার শিখরে পৌঁছেও এখন পর্যন্ত আমেরিকাকে হজম করতে পারেননি ম্যাডোনা৷ যে শহর তাঁকে খ্যাতির চূড়ায় ওঠার সিঁড়ি দিয়েছে, সেই নিউ ইয়র্ক সম্পর্কে ম্যাডোনার সোজা সাপটা মন্তব্য, নিউ ইয়র্ক আমায় কখনই আপন করে নেয়নি৷ আসলে এখনও জন্মভূমির কথা ভুলতে পারেননি এই পপ তারকা৷ তাঁর মতে, বিশ্বের সব থেকে সুন্দর জায়গা ব্রিটেন৷