ফের ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি শিক্ষার্থীদের

ফের ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি শিক্ষার্থীদের

lab-aidভুল চিকিৎসায় মৃত্যুঝুঁকিতে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুমের পরিবারকে কোন প্রকার ক্ষতিপুরণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। তাই ল্যাবএইড কর্ত‍ৃপক্ষের সাথে মাসুমের পরিবারের সদস্যসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে সভাসূত্রে জানা গেছে।

আজ শনিবার ঢাবি উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে আবারো আলোচনায় বসছে ঢাবি ও ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ।

পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ধানমণ্ডির ফোর সিজন রেস্টুরেন্টে মাসুমের পরিবারের সদস্য এবং তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উভয় পক্ষই তাদের স্ব স্ব অবস্থানে অনড় থাকলে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে সম্ভব হয় না।

বরাবরের মতোই ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ ক্যান্সারের বিস্তারের জন্য রোগীকেই দায়ী করেন এবং কোন প্রকার দায়-দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু মাসুমের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ডা. আমজাদের ভুল চিকিৎসাই মাসুমকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের তর্ক বিতর্কে শেষ পর্যন্ত কোন সমঝোতা ছাড়াই এ আলোচনা শেষ হয়।

এদিকে দাবি না মানায় ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে আবারো ফুঁসে উঠছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে কঠোরতম আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। আজ শনিবার ক্যাম্পাসে আবারো প্রতিবাদি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে দাবি আদায়ের হুমকি দিয়েছেন তারা।

তাদের দাবি মাসুমের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসা করানো, মাসুমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেব ১ কোটি টাকা প্রদান এবং ভুল চিকিৎসার দায়ে ডা. আমজাদকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। এই দাবি নিয়ে গত বুধবার ঢাবির কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ল্যাবএইডের সামনে অবস্থান নিলে ল্যাবএইডের এমডি ডা. শামীম শিক্ষকদের মাধ্যমে মাসুমের পরিবারের সাথে শুক্রবার আলোচনার প্রস্তাব দেয়। পরে শিক্ষকদের অনুরোধে অবস্থান কর্সসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, মাসুমের পরিবার এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ল্যাবএইডের চিকিৎসক প্রফেসর আমজাদ হোসেনের ভুল চিকিৎসার ফলে ক্যান্সার মাসুমের সারা শরীরে বিস্তার লাভ করে। ভুল স্বীকার করে ল্যাবএইডের তত্ত্বাবধানে মাসুমকে কলকাতার টাটা মেডিকেলে পাঠানো হলে সেখানকার ডাক্তার মাসুমের ক্যান্সার নিরাময় অযোগ্য ঘোষণা করে। তাদের অভিযোগের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রমানাদি ইতোমধ্যে তারা সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন।

বাংলাদেশ