মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি আগেই ‘ফাঁস’ হওয়ায় ঘটনায় বড় ইনভেস্টমেন্ট ও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ মন্তব্য করেন।
বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, “ট্রাইব্যুনাল এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছে। রায়ের আগেই রায়ের কপি ‘ফাঁস’ হওয়ার ঘটনায় দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র আছে। এতে বড় ধরনের বিনিয়োগ আছে। ”
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আমাদের চেয়ারম্যান (এটিএম ফজলে কবীর) প্রায় ৩২ বছর ধরে বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।”
তিনি বলেন, আমি না হয় সামান্য ছোট একজন জাজ। কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর সদস্য বিচারপতি তো এতো ছোট নন। আমাদের দেয়া বিগত রায়গুলো পড়ে দেখুন। সাঈদীর সাহেবে বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে তা পড়ে দেখুন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সব সময় কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলি। আমাদের তো সব জায়গায় কথা বলা যায় না। আমাদের যা বলার তাই ট্রাইব্যুনালে বসেই বলতে হয়। এ সময় তিনি চ্যানেল২৪ এর টকশোর বিষয়টি টেনে বলেন, “তারা কিভাবে বিচার নিয়ে কথা বলেন।”
তিনি বলেন, বিচরপতি শামীম একজন সিনিয়র সিটিং বিচারপতি। তার বিষয়ে আমরা কিভাবে সমন জারি করি। তারপরও আমরা তার বিষয়ে বলেছি, তিনি এলে সাক্ষ্য গ্রহণ করবো, কিন্তু তার বিষয়ে সমন জারি করতে পারি না।