নতুন শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র একটি সমন্বিত অভিবাসন সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে অধিক হারে দক্ষ ও মেধাবী বিদেশি নাগরিকদের আকর্ষণের জন্য ভিসা ও অভিবাসন প্রক্রিয়ায় কিছু সংস্কার আনার কথা ভাবছে তারা।
এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিদেশিদের জন্য এফ-১ এবং এইচ-১বি ভিসা পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরিবর্তন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এইচ-১বি ভিসাধারীদের বৈধ সঙ্গীকে যুক্তরাষ্ট্রে সহজেই কাজ করার অনুমতি দান এবং এফ-১ ভিসাধারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অপশনাল প্রাকটিস ট্রেইনিংয়ের (ওপিটি) সময় ১৭ মাস বাড়ানো যাতে যেসব শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে স্নাতক রয়েছে তাদের এতে অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
এর পাশাপাশি এফ- ১ ভিসার অধীনে আসা বিবাহিত শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম পড়াশোনার সুযোগ দান এবং মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষক ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে তাদের মেধার প্রমাণ রাখার আরো সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি এই সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।
এর অংশ হিসেবে সিলিকন ভ্যালিতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের উদ্যোক্তা প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। যুক্তরাষ্টের বর্তমান অভিবাসন আইন সংস্কারের মাধ্যমে কী করে ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধাসম্পন্ন বিদেশিদের আকর্ষণ করা যাবে।
অভিবাসন আইন সংস্কারের এই পদক্ষেপে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে। একুশ শতকের প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রমবর্ধমান মেধা সঙ্কট মেটানোর প্রয়োজন থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো অভিবাসন আইন সংস্কারের ব্যাপারে ওবামা গভীরভাবে আন্তরিক বলে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, একটি সমন্বিত অভিবাসন সংস্কারের অংশ হিসেবে ওবামা প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে এমন বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে যারা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে।