দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকা থেকে পদত্যাগ করলেন সম্পাদক শাহজাহান সরদার। ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট আশিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এ পত্রিকাটিতে সম্পাদক হিসাবে তিনি যোগদান করেন। তিনি যোগ দেয়ার এক মাসের মধ্যে পত্রিকাটি বাজারে আসে। আর মালিক পক্ষ পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন না দেয়ার প্রতিবাদে তিনি মানবকণ্ঠ ছাড়লেন ১৩ মাসের মাথায়।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি অর্থ সংকটের কারণে মালিক পক্ষ পত্রিকাটির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি রোজার ঈদের তিন দিন আগে পত্রিকাটির সাংবাদিকসহ সকল বিভাগের ঈদ বোনাস ও বেতন দিলেও ঈদ পরবর্তী গত আগস্ট মাসের বেতন এখনো দেয়া হয়নি। এ নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছিল। অবশেষে এক সপ্তাহ আগে তিনি মালিক পক্ষকে জানান, ২০ তারিখের মধ্যে স্টাফদের বেতন না দিলে তিনি সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত মানবকণ্ঠের স্টাফদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি পদত্যাগ করেন।
অপর এক সূত্র জানায়, পত্রিকাটি বাজারে আসার কিছু দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আশিয়ান সিটির প্লট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে সৃষ্টি হয় নানা ধরনের ব্যবসায়িক ঝামেলা। সম্প্রতি গুলশান-২ এ আশিয়ান গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ডিজিএফআই এর দুই কর্মকর্তাকে মারধর ও অফিসের মহিলা কর্মকর্তা ইশারা কেলেঙ্কারিতে নানা জটিলতায় জড়িয়ে পরে আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। এসব ঝামেলা সামাল দিতে গিয়েই প্রতিষ্ঠানটি অর্থ সংকটে পড়েছে।
রাষ্ট্র, সরকার, জাতীয় সংসদ ও রাজনৈতিক বিটের পরিশ্রমী রিপোর্টার হিসেবে অনেক বছর মাঠ কাঁপিয়েছেন শাহজাহান সরদার। দৈনিক রূপালিতে ছিলেন, পরে দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতা। এরপর দৈনিক যুগান্তরে যান উপসম্পাদক হিসেবে, সেখান থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। বাংলাদেশ প্রতিদিন ছেড়ে যোগ দেন ল্যাবএইডের মালিকানায় প্রকাশিতব্য দৈনিকে। কিন্তু ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটি বাজারে আনতে বিলম্ব করায় তিনি মানবকণ্ঠে যোগ দেন। ইত্তেফাকে থাকা অবস্থায় তিনি ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, তিনি আলোকিত বাংলাদেশে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে।